প্রাকৃতিক ডাক্তার ‘হাতিশুঁড়’
প্রাকৃতিক ডাক্তার ‘হাতিশুঁড়’
হাতিশুঁড় একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক গুণ সম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছটির রয়েছে বিস্ময়কর কিছু উপকারিতা যা মানব দেহের বিভিন্ন রোগ উপশমে কার্যকরী ভূমিকা পলন করে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক এই উদ্ভিদটির গুণাগুণ সম্পর্কে-
ঔষধি গুণঃ
অঙ্গ ফোলায়
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শরীরের বিশেষ করে পায়ের গাঁট ফুলে যায় । এমন সমস্যায় হাতিশুঁড় গাছের পাতা বাটনাতে বেটে হালকা গরম করে লাগালে দারুণ ফল পাওয়া যায়।
আঘাতের ফোলায়
বিভিন্ন কারণে মানষ আঘাৎ প্রাপ্ত হতে পারে। যদি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে সেই সময় আঘাতের ব্যথা কমানো ও ফোলা ফোলা ভাব কমানোর জন্য এই পাতার প্রলেপ দিতে হবে। তাতে করে ফোল ফোলা ভাবটা চলে যাবে।
বার্গীয় ফোলায়
ঊরু ও তলপেটের সন্ধিস্থানে অর্থাৎ কু’চকীতে যেটা হয় তার নামই বলা হয় বাগী, ডান বা বাম যে কোন দিকেই হতে পারে। সাধারণ: এটা একান্ত নিবাসের সময় অস্বাভাবিক অবস্থানের জন্য অথবা মেহ বা ঔপসর্গিক মেহ (গনোরিয়া) রোগগ্রস্ত লোকগুলি এই রোগের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রেও ঐ পাতা বেটে অল্প গরম করে লাগালেও কমে যায়।
বিষাক্ত পোকার কামড়ে
বিষাক্ত কোন পোকামাকড় যদি কামড় দেয় তাহলে সেই স্থানে তাৎক্ষণিক এই উদ্ভিদটির প্রলেপ দেয়া যেতে পারে। এতে করে কামড় দেয়া জায়গায় আর জ্বালাপোড়া করবেনা ।
শ্লেষ্মা জ্বরে
হাতিশুঁড় পাতার রস সর্দি উপশমে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যাদের সর্দি লাগবে তারা এই হাতিশুড়ের পাতা সেচে দুই চামচ পরিমাণ রস খেতে পারেন এতে করে আপনার সর্দি ভাল হবে।
টায়ফায়েড জ্বরে
টাইফয়েড রোগে এই উদ্ভিদটির পাতা হতে পারে কার্যকরী সমাধান। এর পাতার রস হালকা গরম করে পানিতে মিশিয়ে খেলে টাইফয়েড ভাল হয়। তবে দুই থেকে তিন বারের বেশী খাওয়া উচিৎ নয়।
ফেরিনজাইটিসে অথবা লেরিন জাইটিস হলে
হাতিশুড় ফেরিনজাইটিস রোগ উপশমে চমৎকার কাজ করে। এই রোগ হলে অল্প পানিতে ২ চামচ পরিমাণ হাতিশুড়ের পাতার রস মিশিয়ে গরগরা করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
এক্জিমায়
দাউদ একজিমায় এই পাতার রস লাগালে কমে যায়।
ব্রণ এবং দাগ
ব্রন হলে বা এর দাগ হয়ে গেলে হাতিশুঁড় গাছের পাতা ও তার কচি ডাল থেঁতো করে দুপুরে গোসল করতে যাবার ১ঘন্টা আগে ব্রণের ওপর প্রলেপ দিলে ব্রণ সারে এবং নতুন করে আর ব্রণ হয় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন